বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই আজীবন সংগ্রাম করেননি, তিনি বাঙালি নারীদের কীভাবে বৈষম্যহীন মর্যাদাপূর্ণ পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবকাঠামোতে সংযুক্ত করা যায়, সেই ব্যাপারেও সজাগ ছিলেন।
১৯৬৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু নারীদের মূলধারার রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ও গণজীবনের সব পর্যায়ে নারীদের সম অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয় এবং নারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে রাষ্ট্রের বিশেষ বিধান প্রণয়ণের ক্ষমতা সংযোজন করা হয় ও স্বাধীনতার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করে।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর সামরিক শাসকরা মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল ও ধ্বংস করেছিল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্রমান্বয়ে স্বাধীনতা-বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে পুনর্বাসিত করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ অতীতের মতোই চরম নির্যাতন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে সামরিক-স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে অকুতোভয় সংগ্রাম গড়ে তোলে।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে উন্মোচিত হয় নতুন অধ্যায়ের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। পুনরায় জনতার রায়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করে।